শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
ইমরান আল মাহমুদ, উখিয়া: বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তরের সপ্তম ধাপের প্রথম পর্যায়ে রওনা দিয়েছে ১২৬ রোহিঙ্গা পরিবার। পরে বিকেলে আরও ৪২ পরিবারের ১২২জন রোহিঙ্গা তিনটি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ও বিকেলে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ৯টি বাস, ২টি এক্সট্রা বাস, এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
সপ্তম ধাপের প্রথমদিন ৩৭৯জন রোহিঙ্গা শরণার্থী চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়। পরে তাদেরকে চট্টগ্রাম থেকে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়।
রোহিঙ্গাদের বিশাল বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সপ্তম দফার প্রথমদিনে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে প্রটোকলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে করে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দেখা যায়, নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভাসানচর স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গারা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে আবেগঘন মুহুর্ত লক্ষ্য করা যায়। তারা একে অপরের সাথে বিদায়ী কুশল বিনিময় করেন। আবার অনেকে ভাসানচর যেতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
আরআরআরসি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এবারের সপ্তম দফায় ১৮০০ থেকে ২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরের টার্গেদ রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়াশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply